• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২১শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বিকাল ০৩:১৯:২৪ (05-Dec-2025)
  • - ৩৩° সে:

বকশিগঞ্জ ঐতিহাসিক ধানুয়া কামালপুর হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি : জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১সালে  ৪ ডিসেম্বর  এই দিনে মুক্ত হয় ধানুয়া কামালপুর ১১ নং সেক্টর । ধানুয়া কামালপুর মুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে সূচিত হয় জামালপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইলসহ ঢাকা বিজয়ের পথ।ভারতীয় সীমান্তঘেসা জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুরে যুদ্ধের শুরুতেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গড়ে তোলে শক্তিশালী ঘাঁটি। কামালপুর বিজয়ের লক্ষ্যে একাত্তরের ১১ নভেম্বর হানাদারদের শক্তিশালী ঘাঁটিতে আক্রমণ শুরু করেন মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে হানাদাররা। ২৩ দিন অবরুদ্ধ থাকার পর ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ১৬২ সৈন্যের একটি দল যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এতে শত্রু মুক্ত হয় বকশিগঞ্জে উপজেলার ১১ নং সেক্টর  ধানুয়া কামালপুর। তাই দিনটিকে স্বরণ করে প্রতি বছরই স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার মুক্ত দিবস পালন করে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা প্রশাসন ।বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশেদ আলীর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রধান অতিথি সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী, কোম্পানি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজুল হক। বিশেষ অতিথি  জামালপুর সিভিল সার্জন ডা. আজিজুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুরশিদা খাতুন,  ইউনিট কমান্ড মো. হাবিবুর রহমান,ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা-উল- হুসনা, অফিসার ইনচার্জ খন্দকার শাকের আহমেদ সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।স্থানীয় সূত্র ও ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা জেলার মহেন্দ্রগঞ্জ ও জামালপুর জেলার পাহাড় ঘেঁষা বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুরে হানাদার বাহিনী যুদ্ধের শুরু থেকেই শক্তিশালী ঘাঁটি গড়ে তুলেছিল। এখান থেকেই হানাদার বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের উপর হামলা চালায়। উত্তর রণাঙ্গনের ১১ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল যে কোন মূল্যে এই ঘাঁটি দখল করা। এই যুদ্ধে কামালপুর রণাঙ্গনে হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের ৮ দফা সম্মুখ যুদ্ধ হয়।৩১ জুলাইয়ের আগে ধানুয়া কামালপুর রণাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেন জেড ফোর্স। জেড ফোর্সের অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান পাক বাহিনীর সঙ্গে মোকাবেলা করেন। তৎকালীন ৩১ জুলাই সম্মুখ যুদ্ধে পাক বাহিনীর গুলিতে ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ বীর উত্তম শাহাদাত বরণ করেন।

জেলার ইতিহাস


দর্শনীয় স্থান