• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২১শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বিকাল ০৩:১৭:৩৮ (05-Dec-2025)
  • - ৩৩° সে:

পঞ্চগড়ে বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে কোচিং সেন্টার পরিচালনার আড়ালে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র শিক্ষার্থীদের মাঝে সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে আহসান হাবিব নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগের সত্যতা পেয়েও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসী।ঘটনাটি পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের। সম্প্রতি শুরু হওয়া বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পরীক্ষা শুরুর আগেই কতিপয় শিক্ষার্থীর মাঝে সরবরাহ করেন অভিযুক্ত ওই যুবক।অভিযুক্ত আহসান হাবিবের বাড়ি হাড়িভাসা ইউনিয়নের দামু পাড়া এলাকায়। তিনি বিদ্যালয় সংলগ্ন জয়গুন মার্কেট এলাকায় প্রত্যাশা কোচিং সেন্টার নামে একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে বিদ্যালয়ের বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা চলাকালে এক পরীক্ষার্থীকে সন্দেহ হলে কর্তব্যরত শিক্ষক তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এতে উঠে আসে আহসান হাবীবের অনিয়মের চিত্র।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, বিষয়টি নিয়ে আহসান হাবিবের সঙ্গে বসে সমাধান করা হয়েছে। সে অপরাধ স্বীকার করে জানিয়েছে- আমরা যেখান থেকে প্রশ্নপত্র ক্রয় করি, সেখানে একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিচয় দিয়ে সে-ও প্রশ্ন ক্রয় করে।এদিকে, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে আহসান হাবিবের বিচার চেয়েছেন। এই অনিয়মের সঙ্গে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের যোগসাজশ রয়েছে কি-না, সেটিও খতিয়ে দেখার দাবি তাদের।হাড়িভাসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আজিজ প্রধান বলেন, বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার বিষয়টি আমরা বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গেই সমস্ত প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করেছি। ইতোমধ্যে যে দুটি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল, সেগুলোও নতুন প্রশ্নে পুনরায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আহসান হাবিব বলেন, ম্যাডাম (প্রধান শিক্ষক) বিষয়টি নিজেই সমাধান করেছেন। তাই আমি এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। যেকোন তথ্য বা বক্তব্য জানতে হলে ম্যাডামের সঙ্গেই কথা বলতে হবে। ম্যাডাম ছাড়া আমি কিছু বলতে পারবো না।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহজাবিন মনসুর বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে প্রশ্ন ফাঁসের একটি ঘটনা ঘটেছিল। বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার পরই আমরা বিষয়টি অনুধাবন করি। যাচাই বাছাই করে যারা এ ঘটনায় জড়িত ছিল, তাদের ডেকে মীমাংসা করেছি।এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুল কবির মো. কামরুল হাসান বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে আগে আমার জানা ছিল না। এখন অবগত হলাম। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

জেলার ইতিহাস


দর্শনীয় স্থান