• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৫ই কার্তিক ১৪৩২ সকাল ১১:০৭:২৪ (20-Oct-2025)
  • - ৩৩° সে:

কাপাসিয়ায় নদীতে ডুবে একই গ্রামের দুই নারীর মৃত্যু

কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের কাপাসিয়ায় নদীতে ডুবে লিপি বেগম (৪৫) ও বিলকিছ আক্তার (৪০) নামে দুই নারীর মৃত্যুর হয়েছে।১৯ অক্টোবর রোববার সকাল পৌনে ১০টার দিকে কাপাসিয়ার খিরাটি গ্রামের ঘাগটিয়া নদীতে এ ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন- খিরাটি দক্ষিণপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. রফিকুল ইসলামের স্ত্রী লিপি বেগম ও একই গ্রামের অছিম উদ্দিনের স্ত্রী বিলকিছ বেগম। তারা দুজনই দুই সন্তানের জননী।স্থানীয়রা জানান, ঘাগটিয়া ও সনমানিয়া ইউনিয়নের মাঝখানে কালী বানার নদীতে প্রচুর পরিমাণে কচুরিপানা আটকা পড়ায় পানির প্রবাহ অনেকটা থেমে যায়। ফলে তিন দিন আগে খিরাটি দক্ষিণপাড়া এলাকায় নদীর তীরে ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। নদীর ভাঙন রোধে স্থানীয়রা মিলে কচুরিপানা পরিষ্কার করতে উদ্যোগ নেন।রোববার সকালে কচুরিপানা পরিষ্কার করার জন্য স্থানীয় নারী ও পুরুষের দুটি দল দুভাগে বিভক্ত হয়ে কচুরিপানা পরিষ্কার শুরু করে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লিপি বেগম, বিলকিছ আক্তার, সালমা আক্তার, দীনা আক্তার, নারগিছ আক্তার, মাসুদা বেগম ও নাজমুন নাহার কচিসহ সাত সদস্যের নারী দলটি উজানের দিকে নায়েবের বাড়ী এলাকায় এবং দশ সদস্যের পুরুষ দলটি ভাটার দিকে কচুরিপানা পরিষ্কার করছিল।ভাটা এলাকায় থাকা পুরুষ দলের কচুরিপানা পরিষ্কারের ফলে নদীর পানি হঠাৎ করে নিচে নামতে শুরু করে। এ সময় নদীতে পানির স্রোত বেড়ে গেলে তাদের পায়ের নিচের বালু সরে যেতে থাকে। একপর্যায়ে লিপি বেগম, বিলকিছ আক্তার, সালমা আক্তার ও দীনা আক্তার পানিতে তলিয়ে যেতে থাকেন।এ সময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় সালমা আক্তার ও দীনা আক্তারকে উদ্ধার করেন। দীনা আক্তারকে মুমূর্ষু অবস্থায় পার্শ্ববর্তী মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। তবে লিপি বেগম ও বিলকিছ আক্তারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ঘণ্টাখানেক পরে লিপি বেগমের মরদেহ নায়েবের বাড়ি সেতুর কাছে ভেসে উঠে।কাপাসিয়া ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তাদের ডুবুরি দল প্রায় ৬ ঘণ্টা পর বিকেল সোয়া ৫টায় বিলকিছ আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে।কাপাসিয়া ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে তাদের একটি ইউনিট এবং টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের ডুবুরি দল বিলকিছ আক্তারকে উদ্ধার করে।কাপাসিয়া থানার ওসি মো. আব্দুর রব জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জেলার ইতিহাস


দর্শনীয় স্থান