কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকার কেরানীগঞ্জে নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী মায়ের হাতে আব্দুর রহমান নামে তার দুই বছর বয়সী এক শিশুকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মা তার ছেলেকে হত্যা করে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে এবং শ্বাসনালী টেনে ছিড়ে খাটের নিচে রেখে দেয়। শিশু আব্দুর রহমান আতিয়া শারমিন ও টুটুল দম্পতির একমাত্র সন্তান।
৭ সেপ্টেম্বর রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন জৈনপুর গ্রামের আবুল হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ঘরের ভেতর শিশুটিকে দেখতে না পেয়ে তার পিতা টুটুল মিয়া অনেক খোঁজাখুঁজির পরে খাটের নীচ থেকে ছেলের মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে এলাকাবাসী ছুটে এসে পুলিশে খবর দেয়। শিশুটিকে দেহ থেকে মাথা আলাদা করে শ্বাসনালী থেকে যৌনাঙ্গ পর্যন্ত টেনে ছিড়ে ফেলে অত্যন্ত বীভৎসভাবে মারা হয়েছে।
শিশুটির পিতা মো. টুটুল মিয়া জানান, আমার স্ত্রী বেশ কিছুদিন যাবৎ মানসিকভাবে অসুস্থ। তার ওপর জিন-ভুতের আসর রয়েছে। অসুস্থতার কারণে সে ছেলেকে নিয়ে কয়েকদিন যাবত একই গ্রামের আমার শ্বশুরবাড়িতে থাকত। তবে আমার স্ত্রী এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে নাকি তার মানসিক অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে অন্য কেউ হত্যা করেছে এ বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল হক ডাবলু জানান, প্রাথমিকভাবে নিহত শিশুটির মা আতিয়া শারমিনের মানসিক অসুস্থতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক,এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available