• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২১শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বিকাল ০৫:০৯:১৮ (05-Dec-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

বড়াইগ্রামে নারীসহ আপত্তিকর অবস্থায় আইনজীবী, সাংবাদিকদের ওপর হামলা

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামে নারীসহ আপত্তিকর অবস্থায় আব্দুর রশিদ (৫০) নামের এক আইনজীবীকে নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ করে এলাকাবাসী। এসময় সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় ওই আইনজীবীসহ ২-৩ জন।১ ডিসেম্বর সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার হারোয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আব্দুর রশিদ একজন মামলাবাজ প্রকৃতির আইনজীবী। এ কারণে এলাকাবাসী সবাই তাকে ভয় পায়। এই সুযোগে তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিবাহ বহির্ভূতভাবে একজন প্রাপ্তবয়স্ক এক নারীকে তার নিজ বাড়িতে রাখে এবং অবৈধ মেলামেশা করে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর এলাকাবাসী তাদের একই কক্ষে আপত্তিকর অবস্থায় অবরুদ্ধ করে। খবর পেয়ে জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার নাটোর জেলা প্রতিনিধি ও বড়াইগ্রাম ইউনিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মাহবুব হোসেনসহ আরও ছয়জন সাংবাদিক তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে রশিদের বাড়িতে গিয়ে নারীসহ তাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। একজন আইনজীবী হয়ে বিবাহ বহির্ভূত বসবাসের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আ. রশিদ সদুত্তর না দিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে ওই নারী, আ. রশিদ ও তার ভাই দুলাল মিলে বাঁশের লাঠি নিয়ে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ চালায়। এই হামলায় এশিয়ান টিভির সাংবাদিক মো. ওমর ফারুকের মাথা ও গালে গুরুতর আঘাত লাগে এবং রক্তাক্ত হন। এছাড়া অন্যান্য সাংবাদিকদের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে এই আইনজীবী ও তার সহযোগীরা। তারা সাংবাদিকদের হত্যার হুমকি দেয় এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর ভয় দেখায়।এসময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় সাংবাদিকরা প্রাণে রক্ষা পান। বিষয়টি মুঠোফোনে থানা পুলিশকে অবহিত করলে বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই রাজীব সঙ্গীও ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অভিযুক্ত আইনজীবী আব্দুর রশিদ পালিয়ে যায়। পরে আহত সাংবাদিক ওমর ফারুককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। হামলার ঘটনার ভিডিও সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে।এ ঘটনায় অপর আহত সাংবাদিক মো. মাহবুব হোসেন বড়াইগ্রাম থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আটক করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারোয়ার হোসেন জানান, সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় এজাহার পেয়েছি, ভিডিও ফুটেজ দেখেছি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।