• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২১শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বিকাল ০৩:১৮:৪৭ (05-Dec-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, উষ্ণতার খোঁজে ফুটপাতে ভিড় করছেন মানুষ

খোকসা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার খোকসায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্ন আয়ের লোকেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে তীব্রতা বাড়ায় শীত থেকে রক্ষা পেতে সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পোশাক কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন পৌর বাজারের ফুটপাতের দোকানগুলোতে।ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত মার্কেটসহ ছোট-বড় দোকানগুলোতে গরম কাপড়ের চাহিদা বাড়ছে। ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণে হরেক রকম বাহারি পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। শীতবস্ত্রের চাহিদা বাড়ায় বিভিন্ন ধরনের শীতের পোশাক তুলেছেন তারা।ফুটপাতের দোকানে একটি সোয়াটারের দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, বাচ্চাদের কাপড় ৫০ থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা পর্যন্ত, মাফলার ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সাধ্যের মধ্যে থেকেই পছন্দের শীতের পোশাকটি বেছে নিতে চেষ্টা করছে নিম্নবিত্ত দরিদ্র মানুষরা।ফুটপাতের দোকানদার কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছি। শীত বেশি পড়লে ব্যবসা অনেক ভালো হয় এবং শীত কম হলে বেচাকেনা কম হয়। বড়দের জ্যাকেট, সোয়েটার, কোট, বাচ্চাদের কাপড় পাওয়া যায়। সেগুলোর দাম তুলনামূলক একটু কম হয়। কোনো পোশাকের মূল্য নির্দিষ্ট করা থাকে না। তবে দর কষাকষি ছাড়া পছন্দের পোশাক ক্রেতাদের কেনা সম্ভব হয় না। সব পোশাকের দাম একটু বেশি করে চাওয়া হয়। যাতে বিক্রেতারা তাদের লাভ পুষিয়ে নিতে পারেন।’জনতা ব্যাংকের সামনের ফুটপাতের শীতবস্ত্র বিক্রেতা আব্দুর রহিম বলেন, ‘সব বয়সী মানুষের পোশাক বিক্রয় হচ্ছে, ফুটপাতে। গার্মেন্টস আইটেমের চেয়ে পুরাতন শীতবস্ত্র বিক্রি করে বেশি লাভ হয়।’ফুটপাতে শীতের পোশাক কিনতে আসা ক্রেতা আকুল উদ্দিন বলেন, ‘শীত এলে কেনাকাটার ধুম বেড়ে যায়। ২৫০ টাকা দিয়ে আমার জন্য জ্যাকেট নিয়েছি এবং ৩৭০ টাকা দিয়ে আমার দুই বাচ্চার জন্য শীতের পোশাক নিয়েছি। দামের দিক দিয়েও মোটামুটি সস্তা। তবে দর দাম করেই পোশাক কিনছি।’