ঘোড়াঘাটে অনলাইনে প্রতারণা, ৫৬ শিক্ষার্থী ফিরে পেল টাকা
ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: অনলাইন পেইজে চটকদার বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পা দিয়ে অর্ডার করা অগ্রিম টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হওয়া একই স্কুলের ৫৬ শিক্ষার্থী ৭মাস পর ফিরে পেলো টাকা।৮ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে থানা পুলিশ উদ্ধার হওয়া টাকা স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষার্থী কাছে হস্তান্তর করেন।জানা যায়, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌরশহরের আর.সি.পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে অনলাইনে পোশাক কিনতে গিয়ে এমন প্রতারণার ঘটনা ঘটেছিল। পরে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনা তদন্ত করে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ ৭ মাস পর উদ্ধার করে খোয়া যাওয়া টাকা।থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনা পর এসআই আহনাফ তাহমিদকে অভিযোগের তদন্তভার অর্পণ করা হয়। এরপর থেকেই তার নিরলস চেষ্টার ফলে প্রায় ৭ মাস তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চট্টগ্রাম জেলার বাকলিয়া থানা এলাকা হতে শিক্ষার্থীদের খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধার করেন। দীর্ঘদিন পর উদ্ধার হওয়া টাকা ফেরত পেয়ে শিক্ষার্থীরা আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায়।প্রতারণার শিকার শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা ভাবতেই পারিনি টাকা ফেরত পাবো তাও আবার এতদিন পর। আমরাতো টাকার আশাই ছেড়ে দিয়েছিলাম। স্কুলে এসে যখন শুনলাম তখন খুব ভালো লেগেছে।এ বিষয়ে অভিযোগকারী স্কুলের সহকারী শিক্ষক আল মামুন সরকার বলেন, টাকার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম, কিন্তু পুলিশ যে বিষয়টির পিছনে লেগেই আছে এবং এতদিন পর টাকা উদ্ধার হবে! তা কল্পনাও করিনি। টাকা হাতে পেয়েছি। এজন্য থানা পুলিশকে ধন্যবাদ।অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আহনাফ নাবিল বলেন, প্রতারক চক্র কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণা করেছে। শুনে খুব খারাপ লেগেছে এবং অনেক মর্মাহত হয়েছিলাম। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় দীর্ঘ ৭ মাস পর চট্টগ্রামের বাকালিয়া থেকে টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হই। টাকা উদ্ধার করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, উদ্ধার করা টাকা স্কুল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অনলাইনে লেনদেনের ক্ষেত্রে আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে। এ ধরনের কোনো অভিযোগ আসলে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করি। শিক্ষার্থীদের হাতে টাকাগুলো তুলে দিতে পেরে আমাদেরও ভালো লাগছে।