• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২৮শে ভাদ্র ১৪৩২ সকাল ০৭:৫০:৪৬ (12-Sep-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

নেপালে পাট ও আলু রপ্তানি সক্রিয়ভাবে চলমান রয়েছে

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড় জেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ব্যবহার করে ভারতে পেঁয়াজ আমদানির পাশাপাশি নেপালে পাট ও আলু রফতানি কার্যক্রম সক্রিয়ভাবে চলমান রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে  এই বন্দর দিয়ে ৫৯০ মেট্রিক টন পাট এবং ৮৪ মেট্রিক টন আলু রফতানি করা হয়েছে।বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ওইদিন মেসার্স আব্দুল করিম এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স রাসেল এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স তাসফিয়া জুট ট্রেডিং, মেসার্স বালাজি এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স সুবল কুমার সরকার, আসিবা জুট ইন্টারন্যাশনাল, মেসার্স ম্যাক্সি জুট এবং বগুড়া জুট মিল লিমিটেডসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান নেপালে পাট রফতানি করে।এই চালানের মধ্য দিয়ে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর চালুর পর থেকে এ পর্যন্ত নেপালে মোট ১৮ হাজার ৬৪৩ মেট্রিক টন পাট রফতানি করা হলো। পাশাপাশি আলু রফতানিও নিয়মিত চলমান রয়েছে। এদিন রফতানিকৃত ৮৪ মেট্রিক টন আলু মিলিয়ে মোট ২৪ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন আলু এ পর্যন্ত নেপালে পাঠানো হয়েছে।বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারেন্টিন পরিদর্শক উজ্জল হোসেন  বলেন, বাংলাদেশ সরকারের কৃষিপণ্যের মান রক্ষা এবং গুণগত মান নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিটি চালান পরীক্ষা করছি। নিরাপদ ও সুস্থ পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।বাংলাবান্ধা আমদানী-রপ্তানিকারক গ্রুপের আহ্বায়ক রেজাউল করিম শাহীন বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার বাণিজ্য সম্প্রসারণে এই বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সরকারের সহযোগিতা পেলে এ কার্যক্রম আরও বাড়ানো সম্ভব।বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেড-এর ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাবান্ধা চতুর্দেশীয় বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। আমরা প্রতিদিনই রফতানি কার্যক্রম তদারকি করছি, যাতে ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে কার্যক্রম চালাতে পারেন।স্থলবন্দর সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতে এই রফতানির পরিমাণ আরও বাড়বে, যা অঞ্চলটির অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।