• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২১শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বিকাল ০৪:০৭:৫৬ (05-Dec-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

১৯ দেশের অভিবাসন আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউরোপের বাইরে থাকা ১৯টি দেশের সব ধরনের অভিবাসন আবেদন অস্থায়ীভাবে স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন। জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা উদ্বেগকে কেন্দ্র করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।যে ১৯ দেশের নাগরিকরা আগে থেকেই আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিলেন, তাদের ওপর এবার আরও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো। এটি অভিবাসন নীতি কঠোর করার ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিরই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। তালিকায় আফগানিস্তান ও সোমালিয়ার মতো দেশও রয়েছে।সরকারি স্মারকে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় আফগানিস্তানের এক নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই হামলায় একজন গার্ড সদস্য নিহত এবং আরেকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।সম্প্রতি সোমালিদের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের বক্তব্যও বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। তিনি তাদের ‘আবর্জনা’ বলে মন্তব্য করেন এবং বলেন যে যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেশে চায় না।দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই ট্রাম্প অভিবাসন আইন কঠোরভাবে প্রয়োগের কৌশল নিয়েছেন। বড় শহরগুলোতে ফেডারেল এজেন্ট মোতায়েন, মেক্সিকো সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়া—সব মিলিয়ে প্রশাসন এবার বৈধ অভিবাসন কাঠামোতেও পরিবর্তন আনতে শুরু করেছে।স্মারকে জানানো ১৯ দেশের মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন—যাদের ওপর জুনে সবচেয়ে কঠোর প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। বাকি দেশগুলোর মধ্যে আছে বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা, যারা আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ছিল।নতুন নীতিতে এই দেশগুলোর সব আবেদন স্থগিত করা হয়েছে এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি আবেদনকারীকে সম্পূর্ণ পুনঃপর্যালোচনার আওতায় আনার। প্রয়োজনে সাক্ষাৎকার বা পুনঃসাক্ষাৎকার নিয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকি মূল্যায়ন করা হবে।এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে অভিবাসীদের জড়িত কয়েকটি অপরাধমূলক ঘটনাও এই সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলেছে বলে স্মারকে উল্লেখ করা হয়েছে।