অবশেষে ফুলবাড়ীতে হত্যাকাণ্ডের শিকার সবুজের মাথা উদ্ধার
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার সাব্বির হোসেন সবুজের তিন খণ্ড মরদেহের দুই খণ্ড উদ্ধার হলেও মাথা কোনভাবেই উদ্ধার হচ্ছিল না। অবশেষে ঘাতক আব্দুল হামিদের তথ্যের ভিত্তিতে মাথার কিছু অংশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।১৮ অক্টোবর শনিবার সকালে ফুলবাড়ী উপজেলার মিরপুর গ্রামের একটি বরেন্দ্র সেচ পাইপের ভেতর থেকে মাথাটি উদ্ধার করা হয়।নিহত সবুজ ফুলবাড়ী উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের রশিদপুর সরকারপাড়া গ্রামের মৃত সউদ সরকারের দ্বিতীয় পুত্র।বড় ভাই সাদেক হাসান সজিব গত ২৩ সেপ্টেম্বর ফুলবাড়ী থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এর দুই দিন পর, ২৫ সেপ্টেম্বর, মিরপুর গ্রামের একটি ডোবায় মস্তকবিহীন দ্বিখণ্ডিত একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ, যা পরে সাব্বির হোসেন সবুজের বলে শনাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ আব্দুল হামিদসহ ৫ জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে মোট ৬ জনকে আসামি করে মামলা রুজু করা হয়। কিন্তু মরদেহের মাথা না পাওয়ায় তদন্তে জটিলতা তৈরি হয়।গত ১৭ অক্টোবর মামলার ৬ নম্বর আসামি আব্দুল হামিদকে রিমান্ডে নিলে, তিনি সবুজকে হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং মাথা কোথায় লুকানো হয়েছে সে তথ্যও দেন।১৮ অক্টোবর শনিবার সকাল ৬টার দিকে পুলিশ আসামিকে সঙ্গে নিয়ে মিরপুর গ্রামের ডোবার পাশের বরেন্দ্র সেচ পাইপ থেকে নিহতের মাথা উদ্ধার করে।পুলিশ সুপার মারুফাত হোসাইন, ফুলবাড়ী থানার ওসি একেএম খন্দকার মহিব্বুলসহ পুলিশের একটি চৌকস দল এই অভিযান পরিচালনা করেন।