সালমান হত্যা মামলায় আড়ালে থাকা ডন ফের প্রকাশ্যে
বিনোদন ডেস্ক : বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে এক অমর নাম সালমান শাহ। মাত্র চার বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়ে কোটি দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। তবে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তার আকস্মিক মৃত্যু এখনো রয়ে গেছে রহস্যে ঘেরা। ভক্তদের দাবি সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু একাধিক তদন্তে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলা হয়েছে।এদিকে, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহর মৃত্যুর পর রমনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। তবে, গত ২০ অক্টোবর ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক বাদীপক্ষের করা রিভিশন মঞ্জুর করে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।এর পরিপ্রেক্ষিতে ২১ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন সালমান শাহর মামা মোহাম্মদ আলমগীর। মামলায় সালমান শাহর স্ত্রী সামীরা হকসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।সেই মামলার অন্যতম আসামি হিসেবে নাম আসায় তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। যদিও তিনি জানিয়েছিলেন—বাসাতেই আছেন। তবে সামাজিকমাধ্যমে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন।অবশেষে অভিনেতা আবার সক্রিয় হয়েছেন সামাজিক মাধ্যমে। ফেসবুকে ফিরে তিনি একটি গান পোস্ট করেছেন। সেই পোস্টের ক্যাপশনে অভিনেতা লিখেছেন, ৫০ জন বন্ধু-বান্ধবীর জন্য উৎসর্গ করলাম। গানটি পোস্ট করার পরপরই তিনি বেশ প্রশংসাও পেয়েছেন নেটিজেনদের কাছ থেকে।সালমান শাহ ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রহস্যজনকভাবে মারা যান।শুরু থেকেই পরিবার দাবি করে আসছে, এটি আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিত হত্যা। তার মা নীলা চৌধুরী অভিযোগ করেছিলেন, পুলিশ হত্যার অভিযোগ নেওয়ার পরিবর্তে সেটিকে অপমৃত্যুর মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেছিল। পুলিশ বলেছিল, তদন্তে হত্যার প্রমাণ মিললে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে হত্যা মামলা হিসেবে বিবেচিত হবে।অন্যদিকে, সালমানের মৃত্যুর পর থেকেই পরিবারের অভিযোগের তির ছিল স্ত্রী সামিরার দিকে। তবে সামিরা সবসময় সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গত বছর এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, এটি আত্মহত্যা ছিল। সালমান মানসিকভাবে দুর্বল ছিলেন এবং বিয়ের আগেও তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।