• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২১শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বিকাল ০৩:১৯:০৫ (05-Dec-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

রাশিয়া–ভারত জ্বালানি সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে পুতিনের সমালোচনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ওয়াশিংটন যখন রুশ পারমাণবিক জ্বালানি কিনে নিজস্ব চাহিদা মেটাচ্ছে, তখন ভারতের রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে তাদের আপত্তি তোলার কোনো ভিত্তি নেই।৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার বরাতে এসব তথ্য জানানো হয়।ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিউক্লিয়ার প্ল্যান্টের জন্য নিয়মিত রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনে। তাই যদি যুক্তরাষ্ট্র এ সুযোগ ভোগ করতে পারে, তবে ভারতও একইভাবে তেল আমদানির অধিকার রাখে।দুই দিনের সফরে বৃহস্পতিবার ভারতে পৌঁছেছেন পুতিন। সফরের শুরুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে ‘বন্ধু’ সম্বোধন করে সামাজিক মাধ্যমে স্বাগত জানান। তিনি উল্লেখ করেন, ভারত–রাশিয়ার বন্ধুত্ব সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এবং দুই দেশের জনগণের উপকারে এসেছে। বিমানবন্দর থেকে আলিঙ্গন ও পরে মোদির বাসভবনে নৈশভোজের ছবিও শেয়ার করেছেন তিনি।প্রতিনিধি নেহা পুনিয়া জানান, পুতিনের প্রতি ভারতের এই উষ্ণ অভ্যর্থনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি স্পষ্ট বার্তা দেয় পশ্চিমা চাপ থাকা সত্ত্বেও ভারত দেখাতে চায় যে পুতিন কোনো বিচ্ছিন্ন নেতা নন, এবং মোদি ট্রাম্প প্রশাসনের চাপের সামনে নতি স্বীকার করবেন না।সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, ভারত–রাশিয়ার জ্বালানি সহযোগিতা রাজনৈতিক অস্থিরতা বা ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিঘ্নিত হয়নি। তার দাবি, ভারতের আন্তর্জাতিক প্রভাব বাড়তে থাকায় কিছু পক্ষ দেশটিকে রাজনৈতিকভাবে সংকুচিত করার চেষ্টা করছে।গত কয়েক বছরে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০২২ সালের আগে যেখানে আমদানি ছিল মাত্র ২ দশমিক ৫ শতাংশ, বর্তমানে তা মোট আমদানির প্রায় ৩৬ শতাংশে পৌঁছেছে। এ কারণে ভারতের রিফাইনারিগুলো প্রতি ব্যারেলে প্রায় ১২ দশমিক ২০ ডলার পর্যন্ত সাশ্রয় করেছে।তবে ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপ করা ৫০ শতাংশ শুল্ক এবং রুশ তেল কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারতীয় রিফাইনারিগুলো রুশ তেল আমদানি কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছে। রিলায়েন্স ইতোমধ্যে জানিয়েছে, রুশ তেল থেকে প্রক্রিয়াজাত পেট্রোলিয়াম রপ্তানি তারা বন্ধ করবে।