• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২৭শে ভাদ্র ১৪৩২ রাত ০১:৩৫:৩১ (12-Sep-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

শ্রীপুরে জমি কিনে দখলে নিতে হয়রানির শিকার ভুক্তভোগীর অভিযোগ

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুর শ্রীপুরে বরমী ইউনিয়নের গাড়ারন গ্রামে জমি কিনে হয়রানির শিকার দুই ভুক্তভোগী। বৈধভাবে জমি ক্রয় ও নামজারি সম্পন্ন করার পরও প্রতিপক্ষের দ্বারা বারবার হয়রানির শিকার হচ্ছেন এক ভুক্তভোগী। আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জমির মালিকানা লাভ করলেও, প্রতিপক্ষ নানা উপায়ে তার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।ভুক্তভোগী জানান, তিনি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী দলিল রেজিস্ট্রি ও নামজারি সম্পন্ন করেছেন। স্থানীয় ভূমি অফিস থেকে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রও সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু তবুও প্রতিপক্ষের একটি চক্র জমিটি অবৈধভাবে দখল করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।এ বিষয়ে ফিরোজ মন্ডল বলেন,আমি ২০২৩ সালে  জমির মালিক ফারুকের স্ত্রী মোরশীদার কাছ থেকে জমি কিনে নামজারি করার পর ভোগদখল করে আসছি। ২০২৫ সালে ফারুক ও তার স্ত্রী এই জমিটা অন্যত্র বিক্রি করেন। এরপর এ জমি নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। আমি আগে জমি কিনে মালিক হইয়েছি।আমাকে ভোগদখল বুঝিয়ে দেওয়ার পর জমিটা আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। এখন স্থানীয় মাসুম আহমেদ নামের এক ব্যক্তি এটা পাওয়ার নিয়ে জামেলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে মাসুম আহমেদ বলেন, আমি ফারুকের দুই ছেলের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছে। ক্রয় সূত্রে এই জমির মালিক আমি।আমি যাদের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছি তারা আমাকে জমি মেপে ভোগদখল বুঝিয়ে দেওয়ার পর জমিতে সীমানা প্রাচীর তৈরি করছি। আমার জমিতে ফিরোজ মন্ডল বাঁধা সৃষ্টি করছে। এতে আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। কাজের শ্রমিকদের প্রতিদিন টাকা দিতে হচ্ছে।এ বিষয়ে ফারুকের স্ত্রী মোরশীদা বলেন, এই জমি আমার স্বামী আমার নামে দলিল করে দেন।এর কিছু দিন পর আমি পুনরায় আমার স্বামীকে জমি দলিল করে দেই।এরপর ফিরোজ মন্ডলের নিকট বিক্রি করি।আর মাসুম আমার সন্তানের কাছ থেকে জমি কিনে মালিক হন। আমার জমিই নাই,টিকবো কেমনে।এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মহাম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, " ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল।দুই পক্ষকে জমির কাগজপত্র সহ থানায় উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"এদিকে ভুক্তভোগীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং প্রশাসনের প্রতি তার জমির শান্তিপূর্ণ ভোগদখল নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।