ওসমান হাদির মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক ও বিচার দাবি
ডেস্ক রিপোর্ট: জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার অধিকার আদায়ের অন্যতম সাহসী কণ্ঠস্বর এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার অকাল মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।এ ঘটনায় গভীর শোক ও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ১৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৩১ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমি শরিফ ওসমান হাদির মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে গভীরভাবে শোকাহত। আল্লাহ যেন তার রুহের মাগফিরাত দান করেন। তার এই অকাল শহীদি মৃত্যু আবারও স্মরণ করিয়ে দেয়, রাজনৈতিক সহিংসতা কত বড় মানবিক মূল্য দাবি করে।’হাদির অবদানের কথা স্মরণ করে তারেক রহমান আরও লেখেন, ‘হাদি ছিলেন একজন সাহসী রাজনৈতিক কর্মী ও নির্ভীক কণ্ঠস্বর, যিনি সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে তিনি জুলাইয়ের যোদ্ধাদের অধিকার রক্ষা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা এবং জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।’পোস্টে তিনি হাদির পরিবার ও সহযোদ্ধাদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, ‘আমি তার শোকসন্তপ্ত পরিবার, স্বজন ও সহযোদ্ধাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই— দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্য সচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ এবং ইনকিলাব মঞ্চের সংগঠক ফাতিমা তাসনিম।