যোগ্যদের হাতেই ৩০০ আসনে জামায়াতের পতাকা দেয়া হয়েছে: ডা. শফিকুর
নিজস্ব প্রতিবেদক: জনসেবাকে পেশা ও নেশা হিসেবে গ্রহণ করা যোগ্য ব্যক্তিদের হাতেই ৩০০ আসনে জামায়াতের পতাকা তুলে দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। ২৮ নভেম্বর শুক্রবার সকালে রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় আয়োজিত এক গণসমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান।ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘জামায়াতের নেতাকর্মীরা দেশ ছেড়ে পালায়নি। আমরা নির্যাতিত হয়েছি, জেল খেটেছি, জীবন দিয়েছি, কিন্তু দেশ ছাড়িনি।’ তিনি দাবি করেন, পুরনো রাজনৈতিক ফরমুলায় নতুন বাংলাদেশ চলতে পারে না। জনগণ পক্ষপাতমূলক বা পুরনো ধাঁচের রাজনীতি চায় না; তারা চায় প্রকৃত অর্থে জনগণের সরকার।তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের একটি অংশ বিদায় নিলেও তার সব লক্ষণ এখনো রয়ে গেছে। “সব শ্রেণি-পেশার মানুষ খোলা বুকে গুলি ও আগুনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। ছাত্র-যুবকের আকাঙ্ক্ষা ছিল উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা। কিন্তু এই পরিবর্তনে সবাই খুশি নয়,”—বলেন তিনি।দেশ চালানোর অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন, “হ্যাঁ, আমাদের চুরি, চাঁদাবাজি, টর্চার সেল তৈরি কিংবা দুর্নীতির অভিজ্ঞতা নেই। এসব অভিজ্ঞতা না থাকাই আমাদের গর্ব।” তার মতে, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ে উঠলে বিভাজনের রাজনীতি আর টিকবে না।তিনি অভিযোগ করেন, গত সাড়ে ১৫ বছরে জামায়াতকে ধ্বংস করতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও কেউ তাদের সামনে মাথা নত করেনি। ছাত্রশিবির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘সরকার ম্যান্ডেটে আসতে পারবে না বুঝে পুরনো সন্ত্রাসীদের নতুন রূপে মাঠে নামিয়েছে। আর আমরা ৩০০ আসনে মনোনীত করেছি নিষ্কলুষ ও জনসেবামুখী প্রার্থী। জনসেবা যাদের পেশা-নেশা— জামায়াতের পতাকা তাদের হাতেই তুলে দিয়েছি।’