জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু, বিরতিহীন চলবে বিকেল পর্যন্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া ভোট চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। পাশাপাশি হল সংসদের ৪৪৫ জন প্রার্থীও ভোটযুদ্ধে নেমেছেন।জাকসুতে এবার মোট ভোটার ১১৮৪৩। এর মধ্যে ছাত্র ৬১১৫, ছাত্রী ৫৭২৮। একজন ভোটার ভোট দেবেন ৪০টি করে; কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫টি, হল সংসদে ১৫টি পদে।কেন্দ্রীয় সংসদে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে লড়ছেন ৯ জন প্রার্থী এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৮ জন। শেষ মুহূর্তে জিএস পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া। অন্যদিকে, হাইকোর্টের রায়ে প্রার্থিতা ফিরে পেলেও চেম্বার আদালতে স্থগিতাদেশের কারণে নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী অমর্ত্য রায়।বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণের জন্য ৬৭ জন শিক্ষককে পোলিং অফিসার ও সমসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সহকারী পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোট শেষে সিনেট হলে গণনা অনুষ্ঠিত হবে।নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে মোতায়েন করা হয়েছে ১,৫০০ পুলিশ সদস্য, ৭ প্লাটুন বিজিবি ও ৫ প্লাটুন আনসার। পাশাপাশি, সম্ভাব্য যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ক্যাম্পাসে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।গত ২৮ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীদের প্রচারণার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছিলো জাকসু নির্বাচন কমিশন। এতে স্বতন্ত্র ও দলবদ্ধভাবে প্যানেলের মাধ্যমে প্রচারণা করতে দেখা যায় প্রার্থীদের। এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্যানেল আটটি হলো গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’, ছাত্রশিবিরের ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’, ছাত্রদলের নিজস্ব প্যানেল, বামপন্থীদের তিনটি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দুটি প্যানেল।১৯৭২ সালে প্রথম ভোট হওয়া জাকসুতে সবশেষ নবম নির্বাচন হয় ১৯৯২ সালের ৬ জুলাই। কার কী প্যানেলছাত্রদল লড়ছে শেখ সাদী হাসান ও তানজিলা হোসেন বৈশাখীর নেতৃত্বে।বাগাছাসের ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ লড়বে আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল ও আবু তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়ামের নেতৃত্বে।‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’ প্যানেলে আব্দুর রশিদ জিতু ভিপি এবং মো. শাকিল আলীর জিএস পদে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।ইসলামী ছাত্রশিবির ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ নামে লড়বে। তাদের ভিপি প্রার্থী আরিফুল্লাহ আদিব ও জিএস মাজহারুল ইসলাম।‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলে জিএস পদে শরণ এহসান, এজিএস (পুরুষ) পদে নুর এ তামীম স্রোত এবং এজিএস (নারী) পদে ফারিয়া জামান নিকি লড়বেন। এ প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী অমর্ত্য রায় জনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে।ছাত্র ইউনিয়ন-ছাত্রফ্রন্টের ‘সংশপ্তক পর্যদে’ জিএস পদে জাহিদুল ইসলাম ঈমন, এজিএস-নারী পদে সোহাগী সামিয়া জান্নাতুল ফেরদৌস লড়াই করছেন।জাকসুর মোট প্রার্থীর ২৫ শতাংশ ছাত্রী, বাকি ৭৫ শতাংশই ছাত্র। ভিপি পদে কোনো নারী শিক্ষার্থী প্রার্থী হননি। জিএস পদে ১৫ জনের প্রার্থীর মধ্যে মেয়ে দুইজন। আর চারটি পদে কোনো মেয়ে প্রার্থীই নেই।সবগুলো হল সংসদ মিলিয়ে মোট প্রার্থীর ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ ছাত্রী। আর মেয়েদের হলগুলোর পাঁচটিতে ১৫ পদে প্রার্থীই নেই।