• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ২৪শে ভাদ্র ১৪৩২ সন্ধ্যা ০৬:৩৪:২৩ (08-Sep-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

ফতুল্লায় কিশোর গ্যাং লিডার ইভন খুন

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে স্থানীয় কিশোর গ্যাং লিডার ও আইন শৃংখলাবাহিনীর তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী নাহিয়ান আজম ইভন (২৫) নিহত হয়েছে।৭ সেপ্টেম্বর রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে ফতুল্লার ইসদাইর এলাকায় ওসমানী স্টেডিয়ামের সামনে ইভনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।নিহত ইভন সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন ইসদাইর সুগন্ধা আবাসিক এলাকার জামাই বাবুর ছেলে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইভনের বিরুদ্ধে হত্যা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ইভটিজিং ও কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব প্রদানসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ফতুল্লাসহ বিভিন্ন থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।অনুসন্ধানে জানা যায়, ইয়াবা রাখার অভিযোগে ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর দুই সহযোগীসহ ইভনকে গ্রেফতার করে ফতুল্লা থানা পুলিশ। এরপর চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগে ২০২২ সালের ১১ মার্চ ৮ সহযোগী ও বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্রসহ ফের গ্রেফতার হন ইভন। ২০২২ সালের ১৯ মে আবারও ইভনকে গ্রেফতার করে ফতুল্লা থানা পুলিশ। সবশেষ ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর ৫ সহযোগীসহ ইভনকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।এলাকাবাসী জানায়, ইভন জাতীয় পার্টি থেকে চারবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। ইভনের সাথে ইসদাইর রেললাইন বস্তির পাগলা সাইফুল, তার মেজো ভাই বাবু ও ছোট ভাই সফিকুল ইসলামের সাথে মাদক কারবারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিল। এসব বিষয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার মারধরের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ এক মাস আগে চোর আখ্যা দিয়ে পাগলা সাইফুল ও তার দুই সহযোগীকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন ইভন। এ ঘটনার পর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠে পাগলা সাইফুল ও তার সহযোগীরা।ইভন হত্যার সত্যতা নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরীফুল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে আছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।ছেলে হত্যার বিচার দাবি করে নিহত ইভনের বাবা জামাই বাবু জানান, আমার ছেলের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসি চাই। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনেন, সেই দাবি করছি।