আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে তরুণদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে নেপাল। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী দেশটির পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে। বিক্ষোভ দমনে কাঠমাণ্ডুর বিভিন্ন স্থানে কারফিউ এবং বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিমালিয়ান জনিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ২০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারী।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সকল হাসপাতালে আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পার্লামেন্টের কাছে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা রুখতে বেসামরিক প্রশাসনের অনুরোধে নেপাল সেনাবাহিনীর ২ থেকে ৩টি প্লাটুন মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি বর্তমানে শুধু কাঠমান্ডু এলাকায় সীমাবদ্ধ রয়েছে।
বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গুলিতে আহত হয়েছেন কানতিপুর টেলিভিশনের সাংবাদিক শ্রেষ্ঠা। এরই মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠক শুরু করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি।
প্রসঙ্গত, নেপালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে দেশটিতে নিবন্ধন করতে, অফিস স্থাপন করতে এবং একজন অভিযোগ নিষ্পত্তি কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। ৩ সেপ্টেম্বর ছিল সেই সময়সীমার শেষ দিন। অধিকাংশ প্ল্যাটফর্ম সরকারের শর্ত না মানায় ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব, এক্স, রেডিট, লিংকডইনসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করে সরকার।
বিশ্লেষকদের মতে, শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ নয়, দীর্ঘদিনের দুর্নীতি ও রাজনৈতিক অসন্তোষও এই বিক্ষোভের পেছনে বড় কারণ হিসেবে কাজ করছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available