আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাজধানী সানা ও উত্তরাঞ্চলীয় আল-জাওফ প্রদেশে ভয়াবহ প্রাণহানি ঘটেছে। গতকাল ১০ সেপ্টেম্বর বুধবার ভোরে চালানো এই হামলায় অন্তত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৩১ জন। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
এর মাত্র একদিন আগে কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল।
ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সানার আল-তাহরির এলাকার একটি আবাসিক ভবন, একটি চিকিৎসা কেন্দ্র এবং আল-জাওফ প্রদেশের রাজধানী আল-হাজমের সরকারি কমপাউন্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের ভেতর অনেক মানুষ আটকে থাকতে পারেন।
উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের বের করে আনতে নিরলস চেষ্টা চালাচ্ছেন। পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন দমকলকর্মীরা।
হুথি নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরাহ টিভির খবরে বলা হয়, সানার দক্ষিণ-পশ্চিমের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং আল-হাজমে স্থানীয় সরকারি কার্যালয়কে সরাসরি লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালানো হয়। এতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে।
হুথি মুখপাত্র ইয়াহইয়া সারে জানান, ইসরায়েলি হামলা প্রতিহত করতে তারা সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ব্যবহার করেছেন। তাঁর দাবি, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণে কিছু ইসরায়েলি বিমান লক্ষ্যভেদ করার আগেই পিছু হটতে বাধ্য হয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একাধিক সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল নিক্ষেপ করে জায়নবাদী আগ্রাসনের মোকাবিলা করেছে।’
অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের বিমানবাহিনী সানা ও আল-জাওফে হুথি গোষ্ঠীর সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানে। লক্ষ্যবস্তু ছিল হুথিদের সামরিক শিবির, জনসংযোগ কার্যালয় এবং একটি জ্বালানি সংরক্ষণাগার।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ হামলা নিয়ে বলেন, রামন বিমানবন্দরে হুথিদের চালানো ড্রোন হামলার প্রতিশোধ হিসেবেই এই অভিযান চালানো হয়েছে। তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যারা আমাদের আক্রমণ করবে, আমরা তাদের খুঁজে বের করব এবং জবাব দেব।’
সূত্র: আল জাজিরা
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available